ডিজিটাল ইকোনোমির অন্য সকল ইনোভেশানের মধ্যে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে। কারণ এখানে একজন ব্যক্তির অর্থ লেনদেনের জন্য অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের উপর অনেক বেশি নির্ভর করতে হয় না। আমাদের দেশেও একইভাবে MFS এর কার্যক্রম বিস্তার লাভ করেছে। MSF এর কার্যক্রম মূলত অন্তর্ভূক্তিমূলক
কার্যক্রমকে সম্প্রসারণ করে থাকে।
আমাদের দেশে গত ৫/৬ বছরে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের পরিবেশ অনেক বেশি বর্ধিত হয়েছে। ই-কমার্স ফিল্ডে অনেক ব্যবসায়ীর আগমন হয়েছে। হয়ত একটি বা দুটি পণ্য বিক্রয় করে এমন ব্যবসায়ী কিংবা ট্রেডার/সেলার এর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক বেশি। যেমনঃ আমের মৌসুমে অনলাইনে আমের বিক্রয়ের পরিমাণ আগের চেয়ে এই বছর অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। আবার, এফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকে, এমন ব্যক্তির সংখ্যাও বেড়ে গেছে। করোনার সময়ে হয়ত এই ব্যবসায়/বাণিজ্যের পরিমাণ বেড়েছে। ই কমার্সের পাশাপাশি, অনলাইন ট্রেইনিং, ডিজিটাল এডুকেশান প্লাটফর্ম এর পরিমাণ বেড়েছে গত এক বছরে।
ই-ক্যাবের ওয়েবসাইটের সূত্র অনুযায়ী দেশে এখন ই-কমার্স সাইট আছে ৫০০ টি আর ২০০০ টি ফেসবুক ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আছে। এর বাইরেও অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা নিবন্ধন করেনি।
অর্থ লেনদেন করার ক্ষেত্রে নিবন্ধন না করে থাকলে সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়তে হয় এই ধরণের ছোট প্রতিষ্ঠানদের। কারণ মার্চেন্ট একাউন্ট নেওয়ার জন্য দরকার ছিলো ট্রেড লাইসেন্স। কিন্তু মনে করেন, আমি রাজশাহী থেকে আম বিক্রয় করতে চাই। আম বিক্রয় করা ছাড়া আমার কোনো ব্যবসায়/ বাণিজ্যের পরিকল্পনা আপাতত নেই। এই আম বিক্রয়ের জন্য যদি এখন ট্রেড লাইসেন্স করা লাগে তাহলে সেটি আমার জন্য খুব উৎসাহ পাওয়ার মত ঘটনা না। কিন্তু ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার কাজও করা যাবে না, যেটি না থাকলে আবার অনেক বড় লেনদেন করা সমস্যা হয়।
বিকাশ এই যায়গাটিকে মাথায় রেখে শুরু করেছে – পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের জন্য এটি ভালো একটি উদ্যোগ। কারণ ফেসবুকের পেজ থেকে শুরু হওয়া F-Commerce কে বিকশিত করার জন্য এইরকম পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট অনেক বেশি উপকারি। বিশেষত, মৌসুমি ব্যবসায়ীদের জন্য।
বিকাশের পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট সম্পর্কে জানতেঃ https://www.bkash.com/bn/personal-retail-account…
Writer – Enam Ahmed Shuvo