বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সঙ্গে দেশের গান ওতপ্রোতভাবে জড়িত। রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধারা দেশাত্মবোধক গানে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অনুপ্রেরণার অন্যতম মূল একটা উৎস ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে রচিত গণসংগীত। গণজাগরণের এই সংগীত সেই সময়ের আবেগ আর উদ্দীপনার ঢেউ তখন স্পর্শ করেছিল মাঠে যোদ্ধাদের।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উদ্দীপ্ত রেখেছিল যেসব দেশাত্মবোধক গান, সেসব গানের বাণী আর সুরে যেমন ছিল সাহসের কথা, যুদ্ধজয়ের সম্ভাবনার মন্ত্র। তেমনি ছিল দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য আকুতি। এসব গান সমানভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ রেখেছিল মুক্তিযোদ্ধাদের এবং পাশাপাশি অবরুদ্ধ জনগণকে। স্বাধীনতাযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনগুলোতে প্রেরণার উৎস হিসেবে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র।
২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পার করছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও দেশকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে দেশাত্মবোধক গান। এ গান থেকে অনুপ্রেয়ণা নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তরুণেরা। কোকা-কোলা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তরুণদের উদ্দীপ্ত করতে তৈরি করেছে একটি অসাধারণ দেশাত্মবোধক গান।
গানটিতে অসাধারণ নির্মাণশৈলীতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ভোরের সূর্য আলো যখন পূর্ব আকাশে আলো ছড়াচ্ছে। সেই আলো গায়ে মেখে নদীতে তরুণীর এগিয়ে চলা আর শিল্পী গেয়ে চলছেন…
‘তুমি প্রথম ভোরের আলো
তুমি ভরদুপুরের মায়া
তুমি শেষ বিকেলে রোদ
তুমি সবুজ গাছের ছায়া
তুমি গিটারের এলোমেলা সুর
তুমি দারুণ সুখের স্বাধীনতা
তুমি উল্লাসে ভরা যৌবন
তুমি বিজয়ের প্রিয় কবিতা
বাংলাদেশ, বাংলাদেশ
হ্যাপি ফিফটি বাংলাদেশ’।
এভাবেই গানের কথার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে গেছেন তরুণ-তরুণী, সঙ্গে নিয়ে দেশকে। গানের মাঝেই বিভিন্ন দেশের তরুণ-তরুণীরা বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।