কয়েকভাবে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে চাইল ভ্যানমুফ, যার মাঝে আছে আরও শক্ত কার্টন ব্যবহার করা, প্যাকেট করার কাজ আরও যত্নসহকারে করা, এমনকি শিপিং পার্টনারও বদলানো হলো। কিন্তু কোনো লাভই হলো না।
এমন সময় ‘দিমাগ কি বাত্তি’ জ্বলে উঠল তাদের কো-ফাউন্ডার টিয়েস কার্লিয়ারের মাথায়। তিনি দেখলেন, এই শিপিংয়ের সাথে জড়িত লোকজন ফ্ল্যাট টিভির কার্টনকে মূল্য দেয় ঠিকই, কিন্তু তাদের সাইকেলকে কোনো গুরুত্বই দেয় না। ওদিকে তাদের কার্টনের যে সাইজ সেটা অনেকটা ফ্ল্যাট স্ক্রিন টিভির কাছাকাছিই। তাই তিনি পরামর্শ দিলেন, কার্টনের ভেতরে সাইকেল থাকবে ঠিকই, কিন্তু বাইরে প্রিন্ট করা থাকবে টিভির ছবি! এতে হয়তো শিপিংয়ে জড়িত লোকজন তাদের কার্টনকে গুরুত্ব দিতে পারে।
মজার ব্যাপার হলো, রাতারাতি কাজে লেগে যায় এই আইডিয়া। সাইকেলে শিপিংজনিত ক্ষতির পরিমাণ ৭০-৮০ ভাগ কমে এলো। শুরুতে এটা গোপন থাকলেও আস্তে আস্তে তা পৌঁছে যায় অন্যান্য সাইকেল কোম্পানির কানেও, যারাও একই সমস্যায় ক্ষতির অংক গুণছিল। ফলে তারাও এই কৌশল অবলম্বন করে, এবং সফলতা পায়।
এভাবেই ভ্যানমুফ কো-ফাউন্ডারের সিম্পল এই ইনোভেটিভ আইডিয়া কোম্পানিকে দিন দিন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে, মুক্তির পথ দেখায় অন্য আরও সাইকেল কোম্পানিকেও।