Written by 3:09 pm News

দেশের বাইরে বাজার বাড়াচ্ছে আড়ং

96363353 3007528019325636 4247199842259959808 n
Walton and Herlan Ads

header image15054219021592036300বাংলাদেশের কারুশিল্পীদের পণ্য বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে উদ্যোগ নিয়েছে জনপ্রিয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ং। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় বসে কিনেও গ্রাহকেরা এখন হাতে পেয়ে যাচ্ছেন আড়ংয়ের পণ্য। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইড আড়ং ডট কম থেকে পণ্য কিনলে সরাসরি ওই দেশগুলোতে পণ্য চলে যায় ক্রেতার কাছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আড়ং এ তথ্য জানায়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বোচ্চ সাত কর্মদিবসের মধ্যে ক্রয়াদেশ করা পণ্য হাতে পেয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা। এই দ্রুত পণ্য পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করছে আন্তর্জাতিক কুরিয়ার প্রতিষ্ঠান ডিএইচএল।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়াতে পণ্য পাঠানো কার্যক্রম জনপ্রিয় করতে নির্দিষ্ট অঙ্কের কেনাকাটায় বিনা মূল্যে পণ্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা সর্বনিম্ন ১০০ মার্কিন ডলার বা প্রায় সাড়ে ৮ হাজার টাকা, যুক্তরাজ্যের জন্য ৮০ পাউন্ড ও অস্ট্রেলিয়ার জন্য ১০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার কেনাকাটা করলে কোনো পণ্য পরিবহণের খরচ দিতে হবে না ।

আড়ং ডট কম ওয়েবসাইট ছাড়াও গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে আড়ংয়ের অ্যাপ ডাউনলোড করে এই আন্তর্জাতিক কেনাকাটা করা যাচ্ছে।

পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার বাড়ানোর বিষয়ে আড়ংয়ের মালিকানা প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তামারা আবেদ বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের কারুশিল্পীদের বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের সঙ্গে সংযুক্ত করে দিতে চাই।’
নতুন কার্যক্রমের প্রথমে প্রবাসী বাংলাদেশি ও পরে বিদেশিদের কাছে পৌঁছাতে চায় আড়ং। তাদের লক্ষ্য এ বছর অন্তত ১০ হাজার আন্তর্জাতিক ক্রেতার কাছে বাংলাদেশি পণ্য পৌঁছে দেওয়া।

বাংলাদেশে সাতটি শহরে আড়ংয়ের ২১টি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। বর্তমানে দেশের বাইরে আড়ংয়ের কোনো বিক্রয়কেন্দ্র নেই।

আন্তর্জাতিক বাজার বাড়াতে, বিশ্বে আরও তিনটি দেশে অনলাইনের মধ্যমে পণ্য সরবরাহের পরিকল্পনা করছে আড়ং। সে দেশগুলো হলো কানাডা, মালয়েশিয়া ও ভারত। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইউরোপের দেশগুলোতেও পণ্য পরিবহনের পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। তামারা আবেদ বলেন, ‘আমাদের অনেক দিনের স্বপ্ন যে আমরা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্য বিশ্বের বাজারে পৌঁছাব, আশা করছি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের কারুশিল্পীদের কাজ আন্তর্জাতিক বাজারে জায়গা করে নেবে।’

Share this on
Close