দেশের অন্যতম সেরা ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস কোম্পানিতে যোগদানের আগে সর্বশেষ তিনি প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে তিন বছর দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে ২০১৫ সালে একই ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও ব্যাংকটির ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন রাহেল আহমেদ।
ব্যাংকার হিসেবে দুই যুগেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রাহেল আহমেদ দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে জামানতবিহীন ঋণের প্রচলন করে সাড়া ফেলেন।
এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে ১৯৯৫ সালে তার কর্মজীবন শুরু হয়। পরে একই প্রতিষ্ঠানে করপোরেট ব্যাংকিং ডিভিশনে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের স্থানীয় করপোরেট ও আন্তর্জাতিক করপোরেট বিভাগের প্রধান হিসেবেও কাজ করেন তিনি। মাঝে ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রাহেল আহমেদ ইউনাইটেড আরব আমিরাতের ইমিরেটস ইসলামিক ব্যাংক এবং ফার্স্ট গালফ ব্যাংক পিজেএসসি-তে গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন।
পেশাগত জীবনে ব্যাংকিং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দেশে-বিদেশে বহু কর্মশালা ও সেমিনারে অংশ নেন নেদারল্যান্ডসের ম্যাসট্রিখ্ট স্কুল অব বিজনেস থেকে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসে এমবিএ ডিগ্রিধারী রাহেল আহমেদ। একই সঙ্গে অর্জন করেন শ্রেষ্ঠত্বের নানা অ্যাওয়ার্ড ও সম্মান।
‘নগদ’-এ যোগদান বিষয়ে রাহেল আহমেদ বলেন, মাত্র দুই বছরের কম সময় আগে যাত্রা শুরু করেও ‘নগদ’ দেশের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস খাতে বড় রকমের পরিবর্তন নিয়ে আসতে পেরেছে। মূলত উদ্ভাবনী পরিকল্পনা থেকেই গ্রাহকদের জন্য নতুন নতুন সেবা নিয়ে এসেছে ‘নগদ’, যা দেশের গ্রাহকদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে।
আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রটি একটি বড় রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, আমার বিশ্বাস রূপান্তরের এই গতি কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের উদ্ভাবনে আমরা ব্যবহার করতে পারি। উদ্ভাবনী ও গতিশীল এই সেবার মাধ্যমে ‘নগদ’-কে বাংলাদেশের সেরা পেমেন্ট কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করাই আমার প্রধান অগ্রাধিকার- যোগ করেন রাহেল আহমেদ।
বর্তমানে ‘নগদ’র তিন কোটির বেশি কার্যকর গ্রাহক আছে এবং প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে দিনে গড়ে ৩০০ কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে বিভিন্ন ভাতা বিতরণেও সরকারকে একটি চমৎকার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম উপহার দিয়েছে ‘নগদ’। যেকোনো মোবাইল ফোন থেকে *১৬৭# ডায়াল করে অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা চালু করা, ফ্রি ইউটিলিটি বিল প্রদান বা বাজারের প্রচলিত চার্জের অর্ধেক খরচে ক্যাশ-আউট করার সুবিধা গ্রাহকের কাছে ‘নগদ’-কে জনপ্রিয় করে তুলেছে।