Written by 4:52 pm News

মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানির ‘দিন ফুরোচ্ছে’

Walton Primo H9 Cyan Blue
Walton and Herlan Ads

 

Walton Olvio Q37 02

চাহিদার ৬০ শতাংশ ফিচার ফোন দেশীয় কারখানাগুলোতেই তৈরি হচ্ছে, এ বছরেই তা শতভাগে উন্নীতের আশা করছে খাত সংশ্লিষ্টরা।

 

বর্তমানে দেশে হ্যান্ডসেট সংযোজন কারখানাগুলোতে স্মার্টফোন চাহিদার প্রায় শতভাগ পূরণ হচ্ছে। আর ফিচার ফোনের চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশ মেটাতে পারছে দেশি কারখানাগুলো। দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল সংযোজন কারখানাগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছরেই দেশের চাহিদার শতভাগ মেটাতে সক্ষম হবে এ খাত। দেশে মোবাইল ফোন সংযোজন শুরু হওয়ার পর অবৈধ ও নকল মোবাইল সেট বাজারে প্রভাব পড়েছে এবং এতে ‘গ্রে মার্কেট’ও সঙ্কুচিত হয়ে আসছে।

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার  জানান, গত দেড় বছরে দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট তৈরি হয়েছে ৩ কোটি ৩৮ লাখ। এর মধ্যে গত ৬ মাসে প্রায় এক কোটি ৮৮ লাখ হ্যান্ডসেট তৈরি হয়েছে।এছাড়া গত দেড় বছরে দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানি হয়েছে ১ কোটি ৬৩ লাখ। তার মধ্যে গত ৬ মাসে আমদানি হয়েছে মাত্র ১৮ লাখ হ্যান্ডসেট। ২০১৭ সালে দেশে হ্যান্ডসেট সংযোজন শুরু হওয়ার আগে চাহিদার পুরোটাই আমদানি করা হত। এখন সেখানে সেটের বদলে যন্ত্রাংশ আমদানি করে কারখানাগুলোতে সেগুলো সংযোজন করে সেট তৈরি করা হচ্ছে।

বর্তমানে বাংলাদেশে বছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি হ্যান্ডসেটের বাজার রয়েছে। হ্যান্ডসেট আমদানিতে সব মিলিয়ে ৬০ শতাংশের বেশি শুল্ক দিতে হয়। স্থানীয় পর্যায়ে মোবাইল টেলিফোন সেট উৎপাদনের ওপর মূসক অব্যাহতি এবং সংযোজন খাতে ৫ শতাংশ হারে মূসক রয়েছে।

ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সহ “কয়েকটি কারখানা ইতোমধ্যে মাদারবোর্ড তৈরির প্রস্তুতি নিয়েছে, আগামীতে এসব যন্ত্রাংশ তৈরির মাধ্যমে এক সময়ে পুরো হ্যান্ডসেটই দেশে উৎপাদন সম্ভব হবে। এছাড়া দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানিতেও বড় ভূমিকা পালন করবে এ খাত।” ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ হ্যান্ডসেট সংযোজন করে যাচ্ছে।

ওয়ালটনের হেড অব সেলস আসিফুর রহমান খান বলেন, গত বছর মহামারীর সময়ে ফিচার ও স্মার্টফোন মিলিয়ে মোট ৪৪ লাখ ইউনিট উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে চার লাখ স্মার্টফোন তৈরি করা হয়েছে। আগামী বছর এ উৎপাদন দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্থানীয় পর্যায়ে মোবাইল টেলিফোন সেট উৎপাদনের ওপর মূসক অব্যাহতি রয়েছে। এ কারখানাগুলো যাতে টিকে থাকতে পারে সেজন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কম্পিউটারসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস যাতে দেশে সংযোজন ও তৈরি করা যায় সে বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।”

Share this on
Close