বাজার ধরে রাখার পাল্টা কৌশল হিসেবে চলতি সপ্তাহে ‘বিকাশ’ ঘোষণা দেয়, তাদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বিনামূল্যে পাঁচটি নম্বরে টাকা পাঠানো যাবে
গত বছর পর্যন্ত ২০১১ সালে চালু হওয়া মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) “বিকাশ” এর টাকা তোলার চার্জ ছিল প্রতি হাজারে ১৮ টাকা ৫০ পয়সা।
কিন্তু এটা পরিবর্তন হয়ে যায় যখন ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডার “নগদ” এই চার্জ কমিয়ে দেয়। তারা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তাদের নেটওয়ার্কে বিনামূল্যে অন্য অ্যাকাউন্টগুলোতে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
নগদের এই পদক্ষেপ গ্রাহক টানতে দারুণ কাজ করেছে, কারণ ইতোমধ্যে তারা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এমএফএস শাখা “রকেট” এর মার্কেট শেয়ারে ভাগ বসাতে সক্ষম হয়েছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে চলতি সপ্তাহে “বিকাশ” ঘোষণা করে যে, তাদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বিনামূল্যে পাঁচটি নম্বরে টাকা পাঠানো যাবে।
একবার পাঁচটি নম্বরের লেনদেনে মাসে ২৫,০০০ টাকা পাঠানো হলে, পরবর্তী লেনদেনে ৫ টাকা চার্জ প্রযোজ্য হবে। যখন মাসে ৫০,০০০ টাকা লেনদেন হবে, তখন সেক্ষেত্রে ১০ টাকা চার্জ প্রযোজ্য হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংক যদি নতুন করে খরচ মডেলিং প্রক্রিয়া চালাতো, তাহলে এই চার্জ সবসময় কম হতো, যার ফলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করতে পারতো নিম্ন আয়ের মানুষ।
এ ব্যাপারে নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুক বলেন, “আমরা সুবিধাজনক মূল্যে আমাদের সার্ভিস ডেলিভারি প্ল্যান ডিজাইন করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “নগদ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহা্রের মাধ্যমে চার্জ কমাতে সক্ষম হয়েছে। একটি সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে, গ্রাহকরা সবসময় যে কোনো সেবার জন্য একটি যুক্তিসঙ্গত মূল্য পাবেন, আমাদের সবার এ বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।”
মিশুক জানান, “ক্যাশ আউট ছাড়া অন্যান্য এমএফএস সেবার জন্য এই চার্জ কমিয়ে আনা যেতে পারে। কিন্তু এর জন্য সকল সার্ভিস ডেলিভারি অপারেটরকে একমত হতে হবে।”
এ বিষয়ে বিকাশের কর্পোরেট যোগাযোগ বিভাগের প্রধান শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, “প্রায় ৭৭ শতাংশ অভিযোগ এজেন্ট এবং পরিবেশকদের কাছে আসে। চার্জ কমানো কঠিন কিন্তু আমরা এখন ডিজিটাল লেনদেনের উপর জোর দিচ্ছি, যা ক্যাশ আউট করার প্রবণতা কমিয়ে আনবে।”