সম্প্রতি ঢাকাভিত্তিক ইন্টারনেট কোম্পানি ডাটাবার্ড ৩ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ সংগ্রহ করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের অস্টিন, টেক্সাস ভিত্তিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান স্কাইক্যাচার দ্বারা পরিচালিত। পূর্বে, সংস্থাটি ২০১৮ সালে ৪ মিলিয়ন ডলারের প্রাথমিক বিনিয়োগ সংগ্রহ করেছিল।
ডাটাবার্ড, যার অধীনে শেয়ারট্রিপ ও রিদ্মিক কীবোর্ড নিজ নিজ ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় স্থানে পৌঁছে গেছে। শেয়ারট্রিপ দেশের বৃহত্তম অনলাইন ট্রাভেল এজেন্ট যার অধীনে ইতিমধ্যে ৩ মিলিয়নের বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে। অপরদিকে রিদ্মিক কীবোর্ড বাংলাদেশের একমাত্র অ্যাপ যার ৫০ মিলিয়নের বেশি ডাউনলোড রয়েছে এবং এটি বাংলাদেশের সবথেকে বেশি ব্যবহৃত অ্যাপ।
ডাটাবার্ড এর সিইও, কাশেফ রহমান বলেন, “এই বাড়তি বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা ওটিএ হিসেবে শেয়ারট্রিপকে আরও শক্তিশালী পর্যায়ে নেয়ার পাশাপাশি ফিনটেক এবং ডিজিটাল অ্যাডভার্টাইজিং এ বিনিয়োগের মাধ্যমে আমাদের ক্ষেত্র প্রসারিত করছি। আমরা এক্ষেত্রে খুবই ভাগ্যবান যে আমাদের সাথে কিছু অংশীদার রয়েছে যারা মূলধনের বাইরে গিয়ে আমাদের কৌশল গঠনে সহায়তা করে এসেছে।”
রিদ্মিক কীবোর্ড ডাটাবার্ডের এমনই একটি অংশীদার। রিদ্মিক এর প্রতিষ্ঠাতা ও ডাটাবার্ডের সিটিও শামিম হাসনাত এ সম্পর্কে বলেন, “আমি যখন প্রথম রিদ্মিক কীবোর্ড তৈরী করি, তখন এর উদ্দেশ্য ছিল মূলত বাংলা এবং ইংরেজি টাইপিং এর একটি ভাল অভিজ্ঞতা প্রদান করা। এখন মার্কেট লিডার হিসেবে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস রিদ্মিক এর মাধ্যমে আরও সার্ভিস প্রোডাক্ট এনে একটি সুপার অ্যাপ-এ পরিনত করতে পারবো”
ডাটাবার্ড স্ব উন্নয়ন এর পাশাপাশি বাংলাদেশের নিজস্ব প্রতিভা বিকাশ করার কাজে অব্যাহত রয়েছে। তানভির আলি, ডাটাবার্ড বোর্ড মেম্বার জানিয়েছেন, “ আমাদের কার্যসূচী দীর্ঘমেয়াদের জন্য, তাই আমাদের দলের সদস্যদের দক্ষতা বাড়ানো আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার। বাংলাদেশের মতো ক্রমবর্ধমান দেশে আসল সুযোগ হল বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট বিজনেস মডেলগুলি গবেষণা করে অর্জন করা জ্ঞান। গত কয়েক বছর ধরে আমাদের দল কীভাবে এই দর্শনটি বাস্তবায়িত করেছে তা নিয়ে আমরা সত্যিই গর্বিত।” সাদিয়া হক, ডাটাবার্ডের সিসিও শেয়ার করেছেন “আমরা এশিয়ার টেনসেন্ট, এসইএ এবং কাকাওয়ের মতো প্রযুক্তি ইকোসিস্টেম জায়ান্ট দ্বারা অনুপ্রাণিত যেখানে বিকেন্দ্রীভূত দলগুলো সমন্বিতভাবে সার্ভিসেস তৈরি করে। আমার বিশ্বাস, আমরা বিদ্যমান অপারেশনাল ব্র্যান্ড শেয়ারট্রিপ এবং রিদ্মিক এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্থানীয় প্রেক্ষাপটে একটি অনন্য সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছি এবং পাশাপাশি মেধাবী প্রবাসী যারা তাদের কর্মদক্ষতা দিয়ে দেশে প্রভাব ফেলতে ইচ্ছুক তাদেরকে আগ্রহি করে তুলছি ।”
ইন্টারনেট টেক গ্রুপ একদিনে হওয়া যায় না। সিয়া কামালি, স্কাইক্যাচার এর প্রতিষ্ঠাতা বলেন “আমাদের ইনভেস্টমেন্ট সময়রেখা দীর্ঘকালের। ২০৩০ সালে বাংলাদেশ এর সুদূরপ্রসারী অবস্থান ভেবে আমরা বিনিয়োগ করি. এটা আমাদের কাছে স্পষ্ট যে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ইকোসিস্টেম তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বৃদ্ধি পাবে। জনসংখ্যার ভিত্তিতে এটি বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম দেশ, গত দশক ধরে জিডিপি ৮% বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং আমাদের অনুমান যে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী আজ কেবল ৪০%। আগামি কয়েক বছরে আমরা আশা করি যে আরও ৫০ থেকে ৭৫ মিলিয়ন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা প্রথমবারের মতো অনলাইনে আসবেন এবং ডেটাবার্ড তাদের সমস্ত প্রয়োজনীয়তায় উপস্থিত থাকবে।