𝗖𝘂𝘀𝘁𝗼𝗺𝗲𝗿 𝗔𝗱𝘃𝗼𝗰𝗮𝘆 ( কাস্টমার এডভোকেসি )
মার্কেটিয়ার বা ব্র্যান্ড প্র্যাক্টিশনার দের কাছে কাস্টমার এডভোকেসি অনেক পরিচিত একটি টার্ম। মার্কেটিং ফানেল এ একদম নিচের দিকের এই ধাপ কনভার্সন এর পর ভবিষ্যৎ সেল নিশ্চিত এবং বাড়াতে অনেক বড় ভুমিকা পালন করে।
যদিও পরিবার পরিজন, আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব, কলিগ ইত্যাদির কাছে মানুষ ডিরেক্ট এডভোকেসি করে আসছে কোন ব্র্যান্ড এর ব্যাপারে, তবুও ডিজিটাল এর জগতে আরও এক ধরনের এডভোক্যাসি বিদ্যমান। আর তা হচ্ছে প্যাসিভ এডভোকেসি।
আমরা যখন সামনা সামনি কাওকে কোন প্রোডাক্ট বা ব্র্যান্ড এর ব্যপারে ভালো বা খারাপ কিছু বলি, তখন সেটা অনেক ইনফ্লুএনশিয়াল হয়। তেমনি ডিজিটাল এডভোকেসি ও অনেক ইনফ্লুএনশিয়াল।
আমরা এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে হর হামেশাই বিভিন্ন ব্র্যান্ড এর পোস্ট দেখছি। এরমধ্যে অনেক নতুন ব্র্যান্ড এর পোস্ট ও দেখছি। এখন আমি যদি ওই ব্র্যান্ড এর একজন টার্গেট অডিয়েন্স হই তাহলে ওই ব্র্যান্ড এর সাথে এঙ্গেজড হতে বা প্রোডাক্ট কিনতে হলে হয়তো তাদের পেজ রিভিউ চেক করবো। কতো পেজ লাইক আছে তা দেখব। তাদের কন্টেন্ট এর কোয়ালিট কেমন তা দেখবো। কিন্তু এরপর ও ডিসিশান মেকিং এর সময় একটা দোটানা কাজ করেই।
সেই ক্ষেত্রে বিভিন্ন কন্টেন্ট এর এঙ্গেজমেন্ট, যেমন লাইক, কমেন্ট, শেয়ার এবং কমেন্ট এর ধরন ( পজিটিভ না নেগেটিভ ) এগুলা অনেক কাজে দেয়। আর কমেন্ট সেকশানে ব্র্যান্ড গুলা কিভাবে তাদের অডিয়েন্স দের রিপ্লাই দিচ্ছে বা এটেন্ড করছে এটাও অনেক বড় ফ্যাক্ট।
যারা পোস্ট গুলোতে লাইক কমেন্ট করছে তারা হয়তো কাওকে প্রলুব্ধ করার জন্য করছে না, নিজেরা কন্টেট বা প্রোডাক্ট অথবা ওভারোল ব্র্যান্ড এর প্রতি মনোভাব থেকেই দিচ্ছে। কিন্তু তাদের অজান্তেই তাদের এই লাইক কমেন্ট দেখে অনেকেই সেই ব্র্যান্ড এর প্রতি হয় পজিটিভ, নাহয় নেগেটিভ ধারনা পোষণ করছে। পজিটিভ ধারনার থেকেই কিছু প্রস্পেক্টিভ ক্লাইয়েন্ট রিয়েল ক্লাইয়েন্ট হয়ে যাবে, আর নতুন ব্র্যান্ড এর ক্ষেত্রে নেগেটিভ ধারনার কারনে অনেক প্রস্পেক্টিভ ক্লাইয়েন্ট একেবারেই হারিয়ে যাবে। নতুন কোন ব্র্যান্ড কে “বিশ্বাস” করাও যে বড় কঠিন।
তাই মার্কেটিং এ এই প্যাসিভ এডভোক্যাসি এর গুরুত্ত অনেক।
যদিও এই প্যাসিভ এডভোক্যাসি এর থেকে আগত সেলস বা কনভার্সন এখনো ট্র্যাক করা যাচ্ছেনা, কিন্তু একটা সিগ্নিফিক্যান্ট এমআউন্ট এর সেল ঠিক ই আসছে এভাবে।
তাই মিডিয়া বায়ার এবং কমিউনিটি ম্যনাজারদের দের জন্য এই ব্যাপার টা খেয়াল রাখা খুব ই জরুরি, যেনো পোস্ট এঙ্গেজমেন্ট ক্যাম্পেইন গুলোতে পজিটিভ এঙ্গেজমেন্ট বেশি হয় এবং পেজ থেকে যেনো দ্রুত রেস্পন্স করা হয়।
কোন ক্যম্পেইন এর ROI ( Return on Investment ) অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয় এই প্যাসিভ এডভোক্যাসি। তাই একটি নতুন ব্র্যান্ড এর গ্রোথ এর জন্য এই ব্যাপারটায় গুরুত্ব দেয়া উচিৎ।
Written by Mekail Sarwar