প্রিমিয়াম প্রাইসিং আর ওভার প্রাইসিং এক নয়।
প্রিমিয়াম প্রাইসিং আর ওভার প্রাইসিং এক নয়। ঠিক তেমনি ভাইরাল, পপুলার কিংবা ফেমাস হওয়া মানেই ব্র্যান্ড হয়ে যাওয়া না। ব্র্যান্ড একদিনে বা এক বছরে হয়না। মাথায় রাখতে হবে, মার্কেটার ব্র্যান্ড বানাতে পারে না। ব্র্যান্ড তৈরি করে কাস্টমার।
পন্যের গুণগত মান, আস্থা আর ব্র্যান্ড ভ্যালু সব মিলিয়ে পন্যের দাম বেশি রাখা যেতে পারে। কিন্তু যেই পন্যের কোয়ালিটির ঠিক নাই, পপুলারিটি কে পুঁজি করে নিজেরাই নিজেদের ‘ব্র্যান্ড খ্যাতি’ দিয়ে দাম বেশি রাখা হবে ওভার প্রাইসিং।
দেশের বেশিরভাগ ব্র্যান্ড! পপুলারিটি পেয়ে মনে করে “এই যে ব্যাস! ব্র্যান্ড হয়ে গিয়েছি এখন হবে প্রিমিয়াম প্রাইসিং।” তারপর যা ইচ্ছে তা বানিয়ে গলাকাটা দাম ধার্য করে বলে ‘ব্র্যান্ডের পন্যের দাম প্রিমিয়াম হবে না তো কি?’ !!!!
ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম প্রাইসিং করা যায় কিন্তু প্রিমিয়াম প্রাইসিং এর নামে ওভার প্রাইসিং ব্র্যান্ডকে শেষ করে দিতে পারে।
আরো একটি বিষয়, বাংলাদেশি ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা খুব খেয়াল করলাম। ব্র্যান্ডের ইনিশিয়াল স্টেজে খুব ভালো করে একটা পর্যায়ে পৌঁছানোর পর এবার যা ইচ্ছে তাই দেয়া শুরু করে। এর মানে বুঝিনা। ব্র্যান্ড হয়ে গেলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। ব্র্যান্ড হওয়ার পরই আসল দায়িত্ব শুরু হয়। যেটাকে আমরা বলে থাকি ‘ম্যানেজিং ব্র্যান্ডস’!
সময় এখন বাংলাদেশের। এখন আর বিদেশের বড় ব্র্যান্ডগুলোর শুধু ম্যানুফ্যাকচারার না, স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশ থেকেই বড় সব ব্র্যান্ড আন্তর্জাতিক বাজার মাতাবে।
লিখেছেনঃ বিপাশা মতিন
মূল পোস্ট লিংকঃ https://www.facebook.com/bipasha.matin/posts/10218062516181266