Written by 7:51 pm Brand Practitioners, Market Research, Resources

Surviving Corona-crisis: Top 10 Business Pivots for You (Part 1)

Walton

বিখ্যাত আমেরিকান উদ্যোক্তা এবং লেখক Eric Ries যখন বেস্টসেলার ‘Lean Startup’ বইটিতে ‘pivot’ নামক জনপ্রিয় কনসেপ্টটি তুলে ধরেছিলেন, তখন কি ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করেছিলেন COVID-19 নামক এক অকল্পনীয় দূর্যোগ নেমে আসতে যাচ্ছে পৃথিবীর বুকে?

মিডিয়া জায়ান্ট Bloomberg এর মতে, করোনাভাইরাস এর কারণে গ্লোবাল ইকোনমি 2.7 Trillion Dollar এর ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে, আর সেই সাথে কয়েক মিলিয়ন বিজনেস হতে পারে bankrupt. তাই আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষার স্বার্থে যত দ্রুত সম্ভব উপযুক্ত সমাধান আপনাকে খুজে বের করতেই হবে।

এর আগের লেখাতে ‘করোনাকালীন পাঁচটি টপ বিজনেস স্ট্র্যাটেজি’ নিয়ে আমরা আলোচনা করেছিলাম (পরবর্তীতে The Business Standard সেটিকে ফিচার আর্টিকেল করে)।

এর শেষ স্ট্রাটেজিতে ছিল ‘Pivot Your Business’, এখানে পিভট এর অর্থ বিজনেস এর গতিপথের বা স্ট্রাটেজির একটি সিগনিফিক্যান্ট চেইঞ্জ, বিশেষ করে যখন existing মডেল কাজ করছে না।

 

“A Pivot is a Change in Strategy without a change in Vision” – Eric Ries

 

এপর্বে আমরা ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করবো ১০ টি বিজনেস Pivot আইডিয়া নিয়ে, যার কোন একটা ব্যবহার করে হয়তো আপনি আপনার কোম্পানিকে এই মহা বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন।

 

১। Zoom-in Pivot:

প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের স্পেসিফিক কোন একটা ফিচারকে যখন কোম্পানি ফুল প্রোডাক্ট হিসেবে রিলিজ করে, সেটিকে আমরা বলি Zoom in Pivot.

Bill Hewlett এবং Dave Packard যখন 1939 সালে একটি গাড়ির গ্যারেজে Hewlett-Packard প্রতিষ্ঠা করেন, তখন তারা ইলেকট্রনিক টেস্ট এবং মিজারমেন্ট ইকুইপমেন্ট তৈরি করতেন।

প্রায় তিরিশ বছর ধরে HP একটি সফল ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি হিসেবেই পরিচিত ছিল। এরপর সত্তর দশকের শুরুতে তারা পারসোনাল কম্পিউটার জগতে প্রবেশ করে, এবং নব্বই এর দশকে তারা তাদের পুরোপুরি কম্পিউটার প্রোডাক্ট লাইনে ফোকাস করে এবং অভাবনীয় সাফল্য লাভ করে।

আমরা দেখেছি অনেক বড় বড় কোম্পানি এই মূহুর্তে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। অনেকেই বুঝতে পারছেন যে তাদের বর্তমান বিজনেস স্ট্রাটেজি করোনা পরবর্তী দিনগুলোতে কাজ নাও করতে পারে, তবু ডিসিশন নিতে পারছেন না পিভট করার।

কিন্তু HP এর উদাহরণ থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় যে মাল্টিন্যাশনাল এবং অনেক পুরাতন কোম্পানিও সময়ের প্রয়োজনে তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসে বড় ধরণের স্ট্র্যাটেজিক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে।

Zoom-In এর আরেকটি উদাহরণ হচ্ছে জেনারেশন – Z এর কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় Instagram.

ইন্সটাগ্রাম শুরুতে Burbn নাম নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল, এবং সেখানে ফটো ফিচার এর পাশাপাশি গেমিং, মাফিয়া ওয়ার ইত্যাদি আরো ফিচার ছিল। কিন্তু ফাউন্ডাররা একসময় বুঝতে পারে যে অনেক ডিসট্রাকশন তৈরি হচ্ছে, তাই তারা সব ছুড়ে ফেলে দিয়ে শুধুমাত্র Photo sharing ফিচার নিয়ে কাজ শুরু করে – এবং এভাবেই জন্ম নেয় আজকের জনপ্রিয় ইন্সটাগ্রাম!

বর্তমান সিচুয়েশনে Ecommerce, IT এবং Tech ইন্ডাস্ট্রিতে যারা আছেন তারা এই লাইনে চিন্তা করতে পারেন।

আপনার হয়তো অনেক প্রোডাক্ট কিংবা ফিচার রয়েছে, কিন্তু করোনা ক্রাইসিসের সময় এবং পরবর্তীতে এর মধ্যে কোনটির ডিমান্ড সবচেয়ে বেশি থাকতে পারে সেটা এনালাইসিস করে আপনি জুম-ইন করতে পারেন। এর ফলে আপনার টিম আরো বেশি ফোকাস করতে পারবে এবং রিসোর্স রক্ষা করতে পারবেন।

 

২। Zoom-out Pivot

উপরেরটির ঠিক উল্টোটাই হচ্ছে zoom-out পিভট।

এক্ষেত্রে শুরুতে যেটি আপনার পূর্ণাঙ্গ প্রোডাক্ট ছিল, সেটি পরবর্তীতে আরো বড় কোন প্রোডাক্টের জাস্ট একটা ফিচার হিসেবে কাজ করবে।

জুম-আউট এর সবচেয়ে বিখ্যাত (এবং আমাদের পছন্দের) উদাহরণ হচ্ছে Facebook!

Mark Zuckerberg যখন হার্ভাড এর ডর্মে পার্টনারদের সাথে 2003 সালে FaceMash ওয়েবসাইটটি লঞ্চ করে, তখন এটির উদ্দেশ্য ছিল স্টুডেন্টদেরকে ‘Hot or not’ গেইম খেলানো!

শুরুতে ওয়েবসাইটি শুধু স্টুডেন্টদের বেসিক ইনফরমেশন এবং ছবি ফিচার করতে পারতো। কিন্তু তারপর এর জনপ্রিয়তা Harvard এর বাইরে ব্যপকহারে ছড়াতে শুরু করে, এমনকি হার্ভার্ডের সার্ভার পর্যন্ত ক্র্যাশ করে!

পরবর্তীতে এই আইডিয়াকে মাথায় রেখে আর হার্ভার্ডের মেইলের এক্সক্লুসিভিটি ব্যবহার করে Facebook এর যাত্রা শুরু। জাকারবার্গ সিলিকন ভ্যালিতে এসে Facebook এ একের পর এক নতুন ফিচার অ্যাড করতে শুরু করেন…

And the rest, well, is history!

কাস্টমার ডিমান্ড অনেক কমে যাবার ফলে Zoom-out পিভটটি এখন অনেকেরই ব্যবহার করার সুযোগ কম, সেই সাথে ফিনান্সিয়াল ইস্যু তো আছেই। তারপরও বেশ কিছু সেক্টর এখন Zoom-out পিভট করার সুযোগ পাবে – যার মধ্যে Health Industry একটি।

যেহেতু এখন স্বাস্থ্য সচেতনতা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য সেবার প্রয়োজনীয়তা অনেক অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে, যেসব কোম্পানি heath issue নিয়ে কাজ করে তাদের পক্ষে এখন সার্ভিসের রেইঞ্জ এবং ফিচার অনেক বেশি increse এবং diversify করার সুযোগ রয়েছে।

 

৩। Customer Segment Pivot

ধরুন আপনার ব্যবসা একটি TG (টার্গেট গ্রুপ) এর স্পেসিফিক পেইন পয়েন্ট বের করে তার সল্যুশন দিচ্ছে। কিন্তু পরিবর্তিত বিশ্বে আপনার অরিজিনাল TG’র আর এই সল্যুশনটা প্রয়োজন পড়ছে না। সুতরাং আপনি প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ঠিক রেখে আপনার কাস্টোমার সেগমেন্ট চেইঞ্জ এবং টার্গেট করতে পারেন।

আমাদের দেশে সার্ভিস মার্কেটপ্লেসে যেসব কোম্পানি রয়েছে, যেমন Sheba, Handymama, HelloTask ইত্যাদি, তারা এই মূহুর্তে অত্যন্ত জরূরী ভিত্তিতে ডিফারেন্ট কাস্টমার সেগমেন্ট কে সার্ভিস প্রোভাইড করার কথা চিন্তা করতে পারে।

ধরা যাক তারা এর আগে বাসায় মেইড বা ক্লিনিং সার্ভিস দিচ্ছিল যার চাহিদা এখন শুন্যপ্রায়। কিন্তু তার পরিবর্তে সামনের মাসগুলোতে বেশি করে কর্পোরেট কাস্টোমারদেরকে টার্গেট করতে পারে কারণ অফিস খুললে তারা ওয়ার্কপ্লেস আরো বেশি ক্লিন এবং সেইফ রাখতে চাইবে।

 

৪। Customer Need Pivot

আমাদের মতে ‘Customer Need pivot’ প্রতিটা ইন্ডাস্ট্রি এবং প্রতিটি বিজনেসের জন্য এই মূহুর্তের অত্যন্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন একটি স্ট্র্যাটেজি।

নিচের উদাহরণটি আগের লেখাগুলোতেও দিয়েছি, এবং আবারো দিচ্ছি।

করোনার অর্থনৈতিক আঘাতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত ইন্ডাস্ট্রিগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে Ride Sharing.

আমাদের লোকাল স্টার্টআপ Pathao তাদের মেইন রেভিনিউ স্ট্রীম রাইড শেয়ারিং বন্ধ থাকার কিছুদিনের মধ্যেই বন্ধপ্রায় সার্ভিস Pathao Tong কে পুনরূজ্জীবিত করেছে এবং চেইন সুপার শপ ‘স্বপ্ন’ এর সাথে পার্টনারশীপে গ্রোসারী আইটেমস ডেলিভারি করছে, যা এই মূহুর্তে কাস্টোমারদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

আমাদের মাঝে অসংখ্য ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ী (SME) রয়েছেন যারা ছোট পরিসরে কোন একটি দোকান দিয়ে বিজনেস পরিচালনা করছেন।

এলাকায়-মহল্লায় অলিতে গলিতে যেসব দোকান রয়েছে তারা কিন্তু ফোনে অর্ডার নিয়ে প্রত্যেক কাস্টোমারের বাসায় প্রোডাক্ট পৌঁছে দিতে পারে। এর ফলে অনেকে একসাথে দোকানে ভিড় করা লাগছে না, উপরন্তু কাস্টোমার শুধু একজনের সাথে লেনদেন সেরে দ্রুত ডিসইনফেক্ট করে নিতে পারছেন নিজেকে।

Personal Care – যেমন সেলুন, বিউটি পার্লার ইত্যাদি বিজনেসও তাদের কাস্টোমারকে আরো বেশি কাস্টোমাইজড সার্ভিস, প্রয়োজনে সঠিক সতর্কতা অবলম্বন করে বাসায় গিয়ে সার্ভিস দেবার কথা চিন্তা করতে পারে।

আপনার বিজনেস মডেল, SWOT analysis ইত্যাদি করে আপনি পরিকল্পনা করতে পারেন আপনার কাস্টোমারের সামনে কি নীড রয়েছে।

এবং প্রয়োজনে Strategic Partnership এর মাধ্যমে আপনি কাস্টোমারের সেই প্রয়োজন মেটানোর ব্যবস্থা করতে পারেন।

আমরা এখানে বেশ কিছু আইডিয়া এবং এক্সাম্পল থ্রো করলাম যেন তা আপনার চিন্তার খোরাক হয়।

সবাইকেই যে পিভট করতেই হবে ব্যাপারটা কিন্তু মোটেই সেরকম নয়। মেইন ফ্যাক্ট হচ্ছে যদি প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে আপনি একটি উপযুক্ত পিভট খুজে বের করতে পারছেন কিনা।

এবং একসাথে আমাদের সবার মূল উদ্দেশ্য কিন্তু এখন একটাই – Survival.

আজকে এতটুকু থাকলো,পরবর্তী পর্বে বাকি 6 টা Pivot নিয়ে লিখবো। আশা করি in-the-meantime আপনার বিজনেসে এগুলো কাজে লাগবে। Do please share your thoughts and questions in comment.

Written By – Mark Anupom Mollick and Md. Sohan Haidear

 

Share this on
Close